নিজস্ব প্রতিবেদক*
নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,৩১ মার্চ ৩০১৮ : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো: মিঠু মিয়া ও তার বাহিনীর হামলায় হানিফ নামে এক জুটমিল শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের তালতলি বাজারের পাশে হামলার শিকার হয় ওই শ্রমিক। এ ঘটনায় রাতে তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি দেখে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হানিফ গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পলাশ বাগপাড়া এলাকায় অবস্থিত জনতা জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয় ও আহত শ্রমিকের পরিবার জানায়, শুক্রবার রাত ৮ টার সময় হানিফ কাজ শেষে বন্ধুদের সাথে তালতলি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে যুবলীগ নেতা মিঠু মিয়া ও তার আটদশ জন বাহিনীর লোক তাদের পথ রোধ করে। পরে মিঠু হানিফের পরিচয় জানতে চেয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মিঠু তার দলবল নিয়ে হানিফকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বাজারের পাশে একটি গাছের সাথে বেধে রাখে।
আহত হানিফের বাবা জলিল মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি কাজে ছিলাম। হানিফকে রক্তাক্ত করে বাজারের পাশে বেধে রাখার খবর শুনে তার ফুফু আফিয়া আক্তার ঘটনাস্থলে গেলে তারা তাকেও মারধর করে। সেই সময় হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মিঠু ও তার দলবল বাঁধা প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ইফতি বলেন, যুবলীগ নেতা মিঠু তার দলবল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে প্রায় সময় এলাকার নিরিহ মানুষদের রাস্তা ঘাটে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে মিঠু ও তার দলবল হানিফ নামে এক নিরিহ শ্রমিককে মারধর করার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হানিফের মাথা বেয়ে অনেক রক্ত ঝড়ছে। পরে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে মিঠু আমাকে নিষেধ করে বাঁধা প্রয়োগ করে।
গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাহিদুল হক জিল্লু বলেন, মিঠু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

এসব বিষয়ে যুবলীগ নেতা মিঠুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরার কারণে তাদের পথরোধ করি। পরে হানিফা নামে এক যুবক প্রথমে আমার শরীরে আঘাত করে। এরপর আমার সাথে থাকা লোকজন তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে স্থানীয় বাজারে ধরে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।