নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,১১ মে ২০১৮: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচক এলাকায় জমি থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার (২৫) নামে এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে রায়পুরা থানার পুলিশ। নিহত সুমাইয়া খাকচক গ্রামের মোঃ হানিফা ওরফে ভুট্রোর মেয়ে। নিহত সুমাইয়ার জাহিদ মিয়া নামে ৫বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক আট ঘটিকায় নিহতের বাবার বাড়ি খাকচক এলাকায় জনৈক মনিরুজ্জামানের জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত প্রায় ৮বছর পূর্বে নরসিংদীর বানিয়াছল এলাকায় ভাড়া থাকা রতন মিয়ার সাথে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে হয় রায়পুরা উপজেলার খাকচক গ্রামের হানিফা ওরফে ভুট্রোর মেয়ে সুমাইয়ার। তাদের দাম্পত্য জিবনে জাহিদ নামে একটি ছেলে সন্তান আসে। এরই মাঝে সুমাইয়াসহ তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে রতন এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল।
বিষয়টি গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গত ২/৩ বছর পূর্বে স্বামী রতন তার স্ত্রী সুমাইয়া ও সন্তার জাহিদকে ফেলে চলে যায়। এর পর থেকে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে থাকে। অভাবের সংসারে নিরুপায় হয়ে সুমাইয়া তার ছেলে জাহিদকে একটি এতিমখানায় দিয়ে দেয় এবং সে নিজে একটি গার্মেন্সে কাজ কাজ নেয়। এভাবেই চলছিল তার জিবন-যাপন।
মঙ্গলবার সকালে এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে প্রায় কোয়াটার কিলোমিটার দূরে বর্ষার পানি জমে থাকা জনৈক মনিরুজ্জামানের জমিতে পেছন দিক থেকে হাত পা বাধা মাথাটুকু কাদার নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী প্রতিপক্ষদের সাথে হত্যাকান্ড সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের রয়েছে। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আধারে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
রায়পুরা থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না পেয়ে সঠিকভাবে কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে, তাকে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।