1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ারত অবস্থায় তিনবার ‘তালাক’ বললে কি তালাক হয়?

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৭২ পাঠক

ধর্ম ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার , ২৪ আগস্ট ২০১৯:

প্রশ্নঃ আমার স্বামী ও আমার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন অবস্হায়, হঠাৎ করে আমার স্বামী আমাকে তিন বার ঠিক এভাবে “তালাক” “তালাক” “তালাক” বলেছে। কিন্তু তালাকের আগে এবং পরে অন্য কিছু ব্যক্ত করেনি। যেমন: “তুমি তালাক” “তোমাকে তালাক দিলাম” বা “আমি তোমাকে তালাক দিলাম ” এভাবে বলেনি। তখন কোনো স্বাক্ষী বা কারো উপস্থিতি ছিলো না। এ অবস্হায় তালাক কি কার্যকর হয়েছে?

উত্তর:

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

তুমি সম্বোধন না করলেও যেহেতু স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ারত অবস্থায় তিনবার তাকে লক্ষ্য করে তিন তালাক বলেছে, এর দ্বারা তিন তালাক পতিত হয়ে গেছে। এখন আর উক্ত স্ত্রীর সঙ্গে ঘর সংসার করা জায়েজ হবে না।

তাই স্বামী স্ত্রীর আলাদা থাকা আবশ্যক।

ইদ্দত শেষে উক্ত স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু প্রথম স্বামীর কাছে আর আসতে পারবে না।

তবে যদি দ্বিতীয় স্বামী মারা যায় বা দ্বিতীয় স্বামী ঘর সংসার করার পর কোনো কারণে তালাক দেয়, তাহলে প্রথম স্বামী আবার উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে। এছাড়া উক্ত স্ত্রীর প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।

ولا يلزم كون الإضافة صريحة فى كلامه (الى قوله) لأن العادة أن من له امرأة، إنما يحلف بطلاقها لا بطلاق غيرها (رد المحتار-5\458، البحر الرائق-3\442)

ولا يحتاج إلى نية، لأن الصريح موضوع للطلاق شرعا، فكان حقيقة فيه فاستغنى عن النية (مجمع الأنهر، قديم-1\386، جديد-2\11، رد المحتار-4\461، الجوهرة النيرة-2\99، البحر الرائق-3\437)

لو قال لزوجته: أنت طالق، طالق، طالق، طلقت ثلثا (الأشباه والنظائر، قديم-219، جديد-376)

متى كرر لفظ الطلاق بحرف الواو، أو بغير حرف الواو يتعدد الطلاق (الفتاوى الهندية-1\356)

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠]

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোনো স্বামীর সঙ্গে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোনো পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। {সূরা বাকারা-২৩০}

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন, যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে ‎তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,‎ তখন তিনি বলেন-‘যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। ‎কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। ‎যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك

অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি ‎এসে বলেন- ‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি ‎মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ ‎পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন, তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর; [তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে ‎আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী- ‘যে ‎ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে। {সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD