নিজস্ব প্রতিনিধি। নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০১৯:
আনন্দ আর উল্লাসে শিখছে কাব শিশুরা বাংলাদেশ স্কাউটস, ঢাকা অঞ্চলের আয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ ঢাকা বিভাগের ১৪টি জেলার প্রায় ৩ হাজার কাব স্কাউট, কাব লিডার ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণে গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এখন
মুখরিত ছোট ছোট কাব স্কাউট শিশুদের উল্লাসে। কাব ক্যাম্পুরীর ৩য় দিন ছিলো শনিবার ১২ অক্টোবর ।
প্রতিদিনের মতো কাব স্কাউটরা কাব স্কাউটরা ভোরে উঠে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে, শরীর চর্চার উপযোগী পোশাক পরে ‘কিচির মিচির’ এ অংশগ্রহণ করে। ভোর ৬ টা সময় সাব ক্যাম্প ভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত
হয়ে মিউজিকের মাধ্যমে কাব স্কাউটরা সু-শৃঙ্খলভাবে নিজেদের মেলে ধরে, সুস্থ্যতার জন্য ব্যায়াম করে, বিপি’র পিটি করে এবং নানা ধরনের শারীরিক কলা-কৌশল চর্চা করে ও শিখে। এভাবেই নির্মল আনন্দের মাধ্যমে সূর্যোদয়ের সময়কে অতিক্রম করে দিনের কর্মকান্ডের সূচনা করে।
এরপর নিজের তাঁবুর আশে- পাশের এলাকা সাজিয়ে গুছিয়ে ও পরিষ্কার করে; সবাই মিলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার
মাধ্যমে নিজেদের জামা, কাপড়, ব্যাগ, থালা, মগ বিছানাপত্র, ইউনিটের সকল জিনিস গুছিয়ে রাখে। পতাকা উত্তোলন করে অন্যান্য নির্ধারিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। সাবক্যাম্প ১ ও ৩, দূরন্ত -৪ এ এবং সাবক্যাম্প ২ ও ৪ , দূরন্ত-৩ এ অংশগ্রহণ করে। দূরন্ত -৪ হলো ‘রাজার দেশে’ -এর মাধ্যমে কাব স্কাউটরা নিজেদেরকে নানা সাজে সজ্জিত হয়ে আনন্দদায়ক ও চিত্তাকর্ষক, কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। মূলতঃ এই “দুরন্ত” হচ্ছে “কাব কার্ণিভাল”। ইউনিটের সবাই বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে যে কোন একটি বাহনের (নৌকা, লঞ্চ, বাস, রেলগাড়ী, অ্যাম্বুলেন্স) ডাক ডাকতে কার্ণিভাল পয়েন্টে কার্ণিভাল চীফের পেছনে এসে
সমবেত হয়। কার্ণিভাল চীফের পেছনে পেছনে বাদ্যের তালে তালে কার্ণিভাল মাঠে উচু একটি মঞ্চকে ঘিরে বৃত্তাকারে অবস্থান গ্রহণ করে।
নির্দিষ্ট এন্ট্রি ফি’র মাধ্যমে কাব স্কাউটরা স্টেশনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে তারা পুরস্কৃত হয়। কতগুলো ষ্টেশনে ভাগ করে তারা আনন্দের মাঝে শেখে। স্টেশন সমূহ হচ্ছে: ,টার্গেট শাপলা, বেলুন দিয়ে ডিসকাস থ্রো, কৌটায় বল ফেলা, ভারসাম্য রক্ষা, মৎস শিকার, ধারাবাহিক গেরো বাঁধা ইত্যাদি। দূরন্ত-৩ হলো অদম্য যাত্রা, অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার রোমাঞ্চকর ও আকর্ষণীয় এক অভিযাত্রা যা কাবদের কাছে “কাব অভিযান” হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিত। যার মাধ্যমে একজন কাব নিজেদের স্বপ্নকে সার্থক করার সুযোগ পায় ও চিন্তাকে মুক্তাঙ্গনে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। কাব স্কাউটরা নির্দিষ্ট ট্রেইল ধরে অজানা দর্শনীয় স্থানের পথে পাড়ি জমায়। পথিমধ্যে তাদের নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
কতগুলো ষ্টেশনের মাধ্যমে কাবদের শিক্ষা দেয়া হয়। স্টেশন গুলো হচ্ছে: শুনে লিখা, আলোর বর্ণালি, লক্ষ্য অর্জন, কোরাস গান, ঠিকানা খোজা, নৃত্যের তালে, গুপ্তধন উদ্ধার ইত্যাদি। যাত্রা পথে কাব স্কাউটরা কতগুলো জিনিস সংগ্রহ করে যেমনঃ শুকনো পাতা, শুকনো ফুল, পাখির পালক। অভিযান শেষে ৫/৬ ইউনিট একত্রে গোল হয়ে বসে এক ইউনিট অন্য ইউনিটের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করে সর্বশেষে সংগৃহিত দ্রব্যাদির
গুনাগুন অন্য ইউনিটের সদস্যদের জানায় এভাবে সকল ইউনিট পর্যায়ক্রমে তাদের সংগৃহিত সাথে দ্রব্যাদির গুনাগুন সবাইকে জানায় এর মাধ্যমে কাব স্কাউটরা প্রকৃতির অনেক অজানাকে জানতে পারে।