নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০১৯:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষসহ সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলেও জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জিএম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে যাচাই-বাছাই শেষে সদ্য যোগ দিয়ে জাপার প্রার্থী হওয়া সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার মনোয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।
জিএম কামরুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার নন। তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আদিলুর রহমান জানান, কামরুল ইসলাম মিরপুর সেনানিবাস এলাকার ভোটার। সেনানিবাসের এ অংশটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় তার এলাকাটি সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরে। ফলে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেও সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জিএম কামরুল প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের ভোটার হতে হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরপরের দিনই ২৫ ডিসেম্বর দলের বনানী অফিস মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কামরুলের হাতে লাঙ্গলের মনোনয়ন ফরম তুলে দেন জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
জাপা নেতারা জানান, জাপার কোনও নেতাই প্রার্থী হতে চান না। নির্বাচনের ফল পক্ষে আসবে না—এমন আশঙ্কা থেকে কেউ প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখান না। এ কারণেই শেষমুহূর্তে দলের বাইরে থেকে মেয়র প্রার্থী হতে আগ্রহীদের ডেকে আনে জাপা। এরপর দলে যোগদান দেখিয়ে আগ্রহী নেতাকে দলীয় মনোনয়নও দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তরের প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় জাপা নেতা বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। ওই নির্বাচনে প্রায় ২৩ লাখ ভোটারের মধ্যে সংসদে বিরোধী দলের এই প্রার্থী ভোট পান মাত্র ২ হাজার ৯৫০টি। পরে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তরে উপ-নির্বাচনে বাবলু আর প্রার্থী হতে রাজি হননি। তখন এনডিএম ছেড়ে জাপায় যোগ দেয়া সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয় দলটি। নির্বাচনে পরাজয়ের পর জাপার কোনও অনুষ্ঠানে শাফিন আহমেদকে দেখা যায়নি।