শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ :
নরসিংদী শিবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন অপকৌশল করে যাচ্ছেন উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের পুরানদিয়া পূর্বপড়া গ্রামের আরমান মাষ্টারের ছেলে মফিজুল (২৫)। এমনই অভিযোগ করেছেন আব্দুর রহমানের পরিবার। এলাকাবাসী জানায়, ফেইসবুকে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করে আটক হওয়ার পর নিজের উপর ভাড়াটিয়া দিয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ আঃ রহমানের পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য অপকৌশল করা হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় পুরান্দিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাক (তোতা মিয়া) ও আরমান মাষ্টারের তিন বোনের অংশের জমি বিক্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। কয়েক দফা সালিশ দরবার করে ও সমাধান করতে পারেনি এলাকার মাতাব্বররা। অন্যদিকে আরমান মাষ্টারের ছেলে মফিজুল (২৫) আঃ রহমানের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালায়।
এবিষয়ে আঃ রহমান শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ মফিজুল কে আটক করে তার ব্যবহারে মোবাইলটি জব্দ করে। পরে তার বাবা ও স্থানীয় লোকজন মুসলেখা দিয়ে থানা থেকে নিয়ে আসে। তার মোবাইল ফোনটি এখনো থানা পুলিশের জিম্মায় রয়েছে বলে জানা যায়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কিভাবে আব্দুর রহমানকে ঘায়েল করা যায় সেজন্য সে ভাড়াটে দিয়ে নিজের উপর সন্ত্রাসী হামলার নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ আব্দুর রহমানের পরিবারের।
আব্দুর রহমান জানান, আমার তিন ফুফুর ১০৮শতাংশ জমি আমার কাছে ও আমার চাচা আরমান মাষ্টারের কাছে পায়। আমার এক ফুফুর সমস্যা থাকার কারনে আমার ও আমার চাচার কাছে বিক্রি করতে চাইলে আমার চাচা না কেনায় আমার কাছে ২৫শতাংশ জমি বিক্রি করে, এবং আমার চাচার দখলে ৮৩শতাংশ জমি থাকায় সমাধানে আসেনি আমার চাচা,পরে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে ১২ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আমার বাড়িতে পারিবারিক আলোচনায় বসে, আমার চাচা আরমান মাষ্টার ও তার পরিবারের লোকজন এবং আমার পরিবারের লোকজন।
এতে উপস্থিত থাকেন আবু সালেহ মাষ্টার, বাজনাব গ্রামের সদা মাষ্টার,ছিদ্দিক,নুরুল হকসহ গন্যমান্য ব্যক্তি, সালিশির একপর্যায়ে শুনা যায় আরমান মাষ্টারের ছেলে মফিজুল কে বা কাহারা মারধর করেছে। রুহুলের বাড়ির পাশে মফিজুল কে পাওয়া যায় পরে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মফিজুলের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি জমি সংক্রান্ত বিরোধের কথা অস্বীকার করে এড়িয়ে যায়। ছেলের উপর হামলার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কে বা কারা মেরেছে তা আমি জানিনা, তবে তাকে মেরে ফেলার জন্য এ হামলা করা হয়েছে বলে রক্তমাখা জামা দেখান। যা বলার দরকার আমি আদালতে বলব সবার সমানে বলা যাবেনা। এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।