ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০:
গহনা মানে উৎসব, আনন্দ, অকেশান আর উচ্ছ্বাস। প্রিয়জনের মনকে রাঙাতে, ভাসিয়ে দিতে বাধঁ ভাঙা খুশিতে গহনার জুড়ি মেলা ভাড়। আর এশিয়ান সাংস্কৃতিতে গহনার রেয়াজ চলছে শতাব্দীর পর শতাব্দী থেকে। কারণ, গহনার রয়েছে সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা।
আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে হিরের গহনার কদরও বেড়েছে। আর এদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ছোট বড় হিরের গহনার সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। গুনগতমান আর গ্রাহক সেবার অনন্যতার কারণে দীর্ঘ পনের বছর প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে।
করোনার কারণে পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে সবাই যখন লাভ-ক্ষতির অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত ঠিক তখই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে এসেছে। আইএসও সনদধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৈশ্বিক বিরূপ পরিস্থিতির আভাস আগেই টের পেয়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করে উহানের ঘটনার পরপরই।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বর্ডার এরিয়া হওয়ায় আমি চুয়াডাঙ্গায় পাইলট প্রকল্প শুরু করি। এক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন আমাকে সহায়তা করেছে। চুয়াডাঙ্গায় আমি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের অর্থায়নে তারা দেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনার বিস্তার রোধে ব্যাপক সচেতনা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বিনা মূল্যে ১৫ হাজার মাক্স, ৫ হাজার গ্লোভস, ৫ হাজার হ্যান্ড সেনিটাইজার, ১ হাজার পিপিই বিতরণ করেছি। জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য সার্বক্ষণিক রয়েছে তিনটি ফ্রি অ্যাম্বলেন্স।
অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে বিতরণের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ ও জেলা প্রাশাসনকে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তারা দেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিতরণ করা হয়েছে, দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা। দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী সাহায্যের জন্য আরো ১০ হাজার জনের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এছাড়া রংপুরের অতি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য ১৫ টন ও নেত্রকোনায় ৫ টন চাল ক্রয় বাবদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান কারা হয়েছে চেক। সর্বোপরি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সকল স্টাফগণ হাঁসি মুখে তাদের তিন দিনের বেতনও পৃথক একটি চেকের মাধ্যমে প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের ব্রতই হল সেবা করা। যেকোন পরিস্থিতে মানুষের পাশে থাকতে পারাটাই জীবনে স্বার্থকতা। শুধু করোনা পরিস্থিতি না আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি ও আমার টিম আমাদের সকল গ্রাহক ও অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চাই, শুধু সুখের দিনে নয় দুঃখের দিনেও। আমি দেশবাসী ও বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা যার-যার ক্ষেত্র থেকে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন এবং মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন আমরা যাতে এই পরিস্থিতি অতিক্রম করে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি।