নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন
-বুধবার-১০ জুন ২০২০: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভায় দগ্ধ কলেজছাত্র অপূর্ব দাস ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার একদিন পর মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তার মা বানুরানী দাস।
বুধবার (১০ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, জয়রামপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া বানুরানী দাসের কলেজ পড়–য়া ছেলে অপূর্ব দাস(১৭) মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে হেডফোন কানে দিয়ে কথা বলার সময় বিদ্যুায়িত হয়ে মোবাইল ফোনে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে ছেলের শরীরে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনা দেখে ছেলের শরীরের আগুন নিভানো চেষ্টা করেন মা। এ সময় ছেলের সঙ্গে মা ও আগুনে দগ্ধ হয়। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্র্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান জানান, কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারব না। তবে সে যখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তখন তার কানে হেডফোন লাগানো ছিল। সেটি আগুনে পুড়ছিল। এ সময় তার মুখ ও বুক ঝলসানো ছিল। ঘরে তার মায়ের মাথার চুল আগুনে পোড়া ছিল। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। অপূর্ব ও তার মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে জানা যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপূর্ব দাস মারা গেছে। গতকাল তার মা বানুরানী দাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপূর্ব দাস মারা যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,অপূর্ব দাসের শরীরের ৭০ ভাগ ও তার মায়ের শরীরের ৫০ ভাগ ও শ্বাসনালী আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপূর্ব দাসের মৃত্যু হয়েছে। তার একদিন পর বুধবার সকালে বানুরানী দাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।