1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদীর মেঘনায় বালু উত্তোলনের জেরে নদী ভাঙ্গন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ২২৯ পাঠক

নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার,২৪ জুলাই ২০২০: নরসিংদীতে মেঘনা নদী থেকে বছর জুড়ে বালু উত্তোলনের জের হিসেবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ জেলার রায়পুরার চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত ঘরবাড়ি, হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন গ্রাম। এতে খোলা আকাশের নীচে ও অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঘরবাড়ি হারানো মানুষ। অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্যত্র। মেঘনা নদীতে যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে সারাবছর বালু উত্তোলনের মহোৎসবের ফলে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই রায়পুরায় মেঘনা নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের চাঁনপুর, চরমধুয়া ও শ্রীনগর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের শত শত বাড়িঘর, গাছপালাসহ ফসলী জমি। দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে হুমকির সম্মুখীন এসব ইউনিয়নের অনেক গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ, কবর স্থান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত ১৫ দিনে চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নে শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরমধ্যে চাঁনপুর ইউনিয়নে ১৫টি বাড়িঘরসহ পুরো ইমামদিরকান্দি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একই ইউনিয়নের কালিকাপুর ও সদাগরকান্দি গ্রামে ২৫টি বসতভিটা ও অনেক ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

শ্রীনগর ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে একটি মসজিদসহ ৩০টি বাড়িঘর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। চরমধুয়া ইউনিয়নের বীরচরমধুয়া গ্রামে নতুন করে ২০টি পরিবার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। মেঘনার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে, স্কুল, মসজিদ ও বাজার। এছাড়া রায়পুরার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের মহেষভেড় গ্রামেও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁনপুর ইউনিয়নের তিনটি মৌজায় মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু মহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এসব বালু মহালের ইজারাদাররা মেঘনা দিনরাত সমানতালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিয়মবর্হিভূতভাবে বালু উত্তোলন করছেন। ইজারাকৃত সীমানা ছাড়িয়ে যত্রতত্র ও মেঘনার তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এসব বালু উত্তোলনে একাধিক প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় স্থানীরা প্রতিবাদ করতে পারছেন না। অপরিকল্পিতভাবে ইজারা প্রদান করা তিনটি বালুমহাল এর লোকজন এলাকা ছাড়িয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলেও নজরদারি নেই স্থানীয় প্রশাসনের। এতে প্রতি বছরই নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে পড়ছেন অনেকে।

এ বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন সাংবাদিকদের বলেন, বালু মহালের সীমানা ছাড়িয়ে বালু উত্তোলন করা হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বালু তোলার কারণে যদি নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বালু মহাল বন্ধ করে দেয়া হবে এবং গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাঁনপুর ও চরমধুয়া ইউনিয়নে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে একটি প্রতিরক্ষামূলক কাজ প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD