শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার,২৯ আগস্ট ২০২০:
নরসিংদীর শিবপুরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে একটি চক্র বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বিবরণে জানা যায় যে, নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে চলতি বছরের মার্চ মাসের ২ তারিখে অভিযোগ করেন শিবপুর উপজেলার পাঁচপাইকা গ্রামের পিতা-মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মাসুদুল হক। উক্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, শিবপুর উপজেলার বাহাদিয়া মৌজার অন্তর্ভুক্ত সি.এস খতিয়ান নং ২৩, দাগ নং ১৫/১৬ হইতে দলিল নং ৫৫৯ ও ৫৬০ মূলে শ্রী-ছুরত আলী খন্দকার গং হইতে মোহাম্মদ আলী ফকির মাসুদুল হকের দাদা ক্রয় সূত্রে মালিক হয়। অভিযোগকারী ও তার পিতা ভায়া দলিল নং ৪৭৫০ ও ১৩৩২ এবং ১৩৩১ দলিল মূলে তার ছোট দাদা হইতে খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে আর.এস খতিয়ান নং ১৬ ইহাতে রেকর্ড ভুক্ত মালিকানা প্রাপ্ত হয়। আগত নতুন খারিজা জোত নং১৭, ভূমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ খারিজকৃত। তারপর ১৩/৫/৯১ সালে সহকারী কমিশনার ভূমি শিবপুর নরসিংদী হইতে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপিত প্রস্তুতকৃত নকশায় প্রত্যেকের প্রাপ্য অংশ দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। উক্ত খতিয়ানের সাবেক ১৫ নং দাগ হতে এল এ শাখায় অধিগ্রহণ করেন ৭০ শতাংশ। যাহার কেস নং১৮/৪৯-৫০। উক্ত আর.এস ১৬ নং খতিয়ানে ৩৬ শতাংশ ভূমি রাস্তা, পুল, রেলিং কুইস বর্তমান অবস্থানে আছে। অবশিষ্ট ৩৪ শতাংশ ভূমি অভিযোগকারী মাসুদুল হক এর ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় শাজাহান গং দের সাথে এই জমি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রাতের আঁধারে টিনের চালের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করেন শাজাহান গং। শাহজাহান ও তার লোকজন যাতে এই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে না পারেন সেজন্য নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর আদালত বিরোধপূর্ণ জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখর জন্য সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শ দেন আদালত।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আসানুল্লাহ ফকির জানান, ভুল রেকর্ডের কারণে মাসুদুল হক ভূমির মালিক হন। আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।