নরসিংদীর মাধবদীতে নাতি কর্তৃক দাদী হত্যা মামলার মূল আসামি ঘাতক নাতি মোশাররফ হোসেন অনিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মাঝে রহমত আলী (৪৫) নামে এক আসামি পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নাতি মোশাররফ হোসেন অনিক (২০),রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও ঘাতক অনিকের মা হাফেজা (৪০) ,অনিকের চাচা মোস্তফা(৩৫)কে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাদের তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করেন বলে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ায়ি) দুপুরে জানান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল আহমেদ।
আমিরজান হত্যা মামলা সূত্র জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৩১ জানুয়ারী রোববার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলা মাধবদীর কাঠালিয়া ইউনিয়নে মৈষাদী গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন অনিক এর সাথে একটি আমগাছ কাটা নিয়ে তার দাদী আমিরজান (৫৫)’র কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনিক উত্তেজিত হয়ে তার দাদীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় আমিরজানের স্বামী হোসেন আলী এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিরজানের মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের স্বামী হোসেন আলী বাদী হয়ে নাতি মোশাররফ হোসেন অনিক,তার ছেলে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও ঘাতক অনিকের মা হাফেজা,অনিকের চাচা মোস্তফা,অনিকের মামা সাবেক ইউপি সদস্য জায়েদ আলীর ছেলে রহমত আলী সহ চারজনকে আসামী করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপরতা শুরু করলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আসামীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন নিহতের স্বামী হোসেন আলী।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, কাঠালিয়া ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামে আলোচিত এ খুনের ঘটনায় গত সোমবার রাতে ঘাতক অনিকদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাফেজা ও মোস্তফাকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং পরদিন মোশাররফ হোসেন অনিককে আটক করা হয়। আটকৃত তিনজনকে নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।