কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও লাভজনক করতে সচেষ্ট রয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ২৮৪টি কৃষি প্রকৌশলীর পদ সৃজন করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কৃষিবিদ দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিবিদ ড. রাজ্জাক আরো বলেন, দেশের কৃষি শিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণে কৃষিবিদদের ভূমিকা আজ সর্বজন স্বীকৃত। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করে কৃষি উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন কৃষিবিদরা। ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান অব্যাহত রাখতে কৃষিবিদদেরকে আরও কার্যকর ও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে সময়োপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তা সম্প্রসারণ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদ মর্যাদা দেয়া ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত। এর ফলেই মেধাবীরা কৃষি পেশায় আগ্রহী ও উৎসাহিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের যে সাফল্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে- তার পেছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বগুড়ার সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মোঃ হামিদুর রহমানসহ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় শত উক্তি সংবলিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
তাছাড়া, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ন ম নাজমুল আহসান (মরণোত্তর), একুশে পদকপ্রাপ্ত অ্যালামনাই অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।