নরসিংদীর মাধবদীতে ছোট ভাই কর্তৃক বড় ভাই খুনের মামলায় মা-বাবা সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঘাতক জহিরুল (২২),তার স্ত্রী নওশীন আক্তার মীম,মা’মাসুদা,বাবা শাহানুল্লাহ ও নিহত সোহাগের লাশ গুম করার প্রধান সহযোগী তোতা মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া(২৩)।
শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ১ মার্চ রাত ৯টার দিকে সোহাগকে তার ভাই জহিরুল হত্যা করে। এরপর জহিরুলের মা মাসুদা বেগম ও বাবা শাহানুল্লাহ সহ কয়েক জনের সহায়তায় বাড়ির পাশে এক ডোবায় মাটি চাপা দিয়ে লাশ গুম করা হয়। পরে মাধবদী থানা পুলিশ ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে একই উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দাইরের পাড় এলাকায় গত মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালায়। পরে ঘাতক জহিরুলের স্ত্রী নওশীন আক্তার মীমকে গ্রেফতার করা হয়। মীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। পরে নওশীন আক্তার মীমের দেখানো তথ্য মতে নিহত সোহাগের লাশ বাড়ির থেকে ২৫ ফুট উত্তরে একটি ডোবায় প্রায় ১২ মাটির নীচ হতে উদ্ধার করা হয়। পরে হত্যা কাজে ব্যবহৃত স্ট্যাম্প,মাটি কাটারব্যবহৃত দুটি কোদাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতর পক্ষে বাদি না থাকায় রাষ্ট্র পক্ষ থেকে মাধবদী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, দাইরের পাড় এলাকায় ছোটভাই কর্তৃক বড় ভাই হত্যা মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী জহিরুল,লাশ গুম করার প্রধান সহযোগী একই এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (২৩)কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রধান করে তারা। এ মামলার ঘটনায় জড়িত নিহত সোহাগের মা’ মাসুদা ও বাবা শাহানুল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের পাঁচ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেন।