করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আজ (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টা থেকে বাজেট উপস্থাপন করছেন তিনি।
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাজেটে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলো থেকে ৭৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা নেয়া হবে। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ৩২ হাজার কোটি টাকা আর অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে সরকারকে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এজন্য এবারের বাজেটে সুদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
এর আগে ঘাটতি মেটাতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকখাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছিলে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে ঘাটতির হার (সরকারের আয় ও ব্যয়ের ব্যবধান) হবে সম্প্রতি বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ যা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর উন্নয়নশীল দেশের বাজেটে ঘাটতি থাকাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনেরা।
অবকাঠামো তৈরি এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। এতে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের মধ্যে থাকা ঘাটতি পূরণ করে থাকে সরকার।