নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বড়বাড়ি গ্রামে লিজা আক্তার নামের শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা ওই এলাকার ভাড়াটিয়া শাহ আলম, আব্দুস সামাদ ও শিমুল নামে তিন যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
লিজা ওই এলাকার ফল বিক্রেতা রমজান আলীর মেয়ে। আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক শিবশংকর জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শিশুটির মা সাবিনা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়ে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। সকাল ১০টার দিকে লিজার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশ ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সন্ধান না পেয়ে এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে লিজার সহপাঠীরা তাদের জানায়, পার্শ্ববর্তী নান্নু মিয়ার এক ভাড়াটিয়া লিজাকে দোকান থেকে সিগারেট ও আইসক্রিম আনার কথা বলে ডেকে নেয় এবং তাদের চলে যেতে বলে। এ কথা জানার পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি নান্নু মিয়ার ভাড়াটিয়ার বাড়িতে যান। ওই ঘরে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় লিজার মরদেহ পাওয়া যায়।
শিশুটির বাবা রমজান আলী বলেন, এলাকায় তার কোনো শত্রু নেই। তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লিজার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। জামাকাপড় রক্তাক্ত। তিনি হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবর : সমকাল