নরসিংদীর মাধবদীতে আলোচিত আমিরজান হত্যা মামলার মামলায় সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচার চেয়ে নিহতর বৃদ্ধস্বামী হোসেন আলী ও স্বজনরা আসামিদের ছবি সম্মিলিত পোস্টার হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদীর আদালত পাড়ায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনের পোস্টারে লিখা ছিলো, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, কাঠায়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক রনি’মা আমিরজানকে সন্ত্রাসীদের গড-ফাদার মোহাম্মদ আলী মেম্বারের নেতৃত্বে বিএনপির সন্ত্রাসী রহমত আলী, মোশারফ হোসেন অনিক, মোস্তফা ও হাফেজা বেগম সহ অজ্ঞাতনামা আরো চার/পাঁচ জন সন্ত্রাসী মিলে সম্পত্তির লোভে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে এই ঘৃণ্য হত্যার কান্ডের পুনতদন্তের মাধ্যমে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
আদালত সূত্র জানায়, মূল আসামী ঘাতক নাতি মোশাররফ হোসেন অনিক কারাগারে রয়েছে। এ মামলায় আরো তিন আসামি জামিনে রয়েছে। আজ বুধবার বিজ্ঞ আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিলো।
নিহতর স্বজনরা জানান, মাধবদী থানার মৈষাদী এবছর ৩১ জানুয়ারী রোববার সকালে একটি আমগাছ কাটা নিয়ে ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দাদী আমিরজান (৫০)’র সাথে কথা কাটাকাটি হয় নাতি মোশাররফ হোসেন অনিক (১৮) এর। এক পর্যায়ে অনিক ও তার স্বজনদের সাথে ঝগরা সৃষ্টিহয় এসময় অনিক ও স্বজনরা আমিরজান সহ হোসেন আলীকে মারধর করে। একই সময় উত্তেজিত হয়ে অনিক তার দাদী আমিরজানকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্বামী হোসেন আলী এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিরজানের মৃত্যু হয়। হোসেন আলী নিরহ হওয়ায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর হয়ে উঠে। এরপর স্বামী হোসেন আলী বাদী হয়ে তার নাতী মোশাররফ হোসেন অনিক (১৮) সহ চারজনকে আসামী করে মাধবদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় মাধবদী থানা পুলিশ নিহত আমিরজানের সৎ ছেলে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও ঘাতক অনিকের মা হাফেজা (৪০) এবং অনিকের চাচা মোস্তফা (৩৫) ও অনিককে গ্রেফতার করে নরসিংদীর আদালতের প্রেরণ। পরে বিজ্ঞ আদালত থেকে অনিক বাদে তিনজন জামিনে মুক্তি পায়।
এ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবী ফয়সাল সরকার জানান, নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৩য়) আদালতে আমিরজান হত্যার বিচার প্রক্রিয়াধীন। এ মামলার বাদী হোসেন আলী পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি জানিয়েছেন। বাদীর অভিযোগের বিক্তিত্বে এ মামলা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতের বরাবর না রাজি প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, আজ বুধবার বিজ্ঞ আদালতে এ মামলার আসামির জামিন চেয়েছিলো বিবাদি পক্ষের আইনজীবী। তবে জামিন নামুঞ্জু করে পুনরায় আসামি অনিককে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আগামি ২ নভেম্বর বাদি পক্ষের শুনানির দিন ধার্য করেন বিজ্ঞ আদালত।