নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।এই নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর মনে করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে।তার পরোক্ষ সহযোগীতা ব্যতিত হেভিওয়েট প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের বিপক্ষে জয়ী হওয়া আইভীর জন্য কষ্টকর হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শামীম ওসমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তিনি এখনও সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর অসন্তুষ্ট।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে ফতুল্লা ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শামীম ওসমান।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয়ে অনেক রক্তক্ষরণ। আমি মানসিকভাবে সুস্থ না।অনেকটাই ভেঙে পড়েছি। কারণ আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বজনসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে শ্মশানের মাটি এনে রাখা হয়েছিল।’।
শামীম ওসমান বলেন, ‘রাজনীতিতে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের অনেক অবদান আছে। আমরা সে হিসেবে অনেক ঠুনকো। যখন তাদের কবর নিয়ে এসব ঘটনা ঘটে তখন কষ্ট লাগে। সেই কষ্টের দাগ এখনো শুকায়নি। জানি না কবে শুকাবে। ঘটনার পর সিটি করপোরেশন একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলো। কিন্তু সেখানেও মিথ্যার আশ্রয়। সেই ঘটনার মানসিক যন্ত্রণা আমি এখনও ঘোচাতে পারিনি। তাই মনটা বেশি ভালো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাড়া-মহল্লার পরিবেশ পরিবর্তন করতে হবে। যাতে মানুষ রাত ২টার সময়ও বাড়ির বাইরে গিয়ে নিরাপদ বোধ করেন। মা-বোনেরা যেন এলাকাতে নিরাপদে থাকেন। আমি চাই এমন কিছু করে যেতে যাতে মানুষ মৃত্যুর পর অন্তত চোখের পানি ফেলে।’
উল্লেখ্য, ফতুল্লার মাসদাইর কবরস্থানে শামীম ওসমানের বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহা, মা নাগিনা জোহা, বড় ভাই নাসিম ওসমান, দাদী আমিরুন নেচ্ছা বেগম ও আয়ানাবুন নেচ্ছা বেগমসহ অন্যান্য স্বজনদের কবর পার্শ্ববতী শ্মশানের মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলে সিটি করপোরেশন।
গত ৯ আগস্ট কবরস্থানে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শামীম ওসমান। বলেন, আমার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর যে পরিমাণ কষ্ট পেয়েছি তার চাইতে এখন যে ঘটনা এখন ঘটেছে তার জন্য কষ্ট কোনো অংশ কম নয়।
তিনি বলেন, কোনো মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। এটা ইবলিশ শয়তানের পক্ষেই কেবল সম্ভব। ইবলিশ ওরফে শয়তান মানুষের ভেতরে প্রবেশে করে এমন জঘন্য কাজ করিয়েছে।