নরসিংদীর রায়পুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধরে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগীরা নরসিংদী আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গত রবিবার (২০ মার্চ) রাতে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, একই ইউনিয়নের খাকচক এলাকার মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মো. লিটন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম (৩০)। পরে আহত লিটনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তার স্ত্রীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত লিটনের বোন শরীফা বেগম ও তার স্ত্রী খালেদা বাদী হয়ে এ দুটি মামলা দায়ের করেন। এতে পাঁচজন করে আসামি করা হয়েছে বলে জানান আহত লিটন। তিনি জানান, প্রতিবেশি মৃত. আব্দুল ওয়াহাবের দুই ছেলে আব্বাস আলী ও জাকির হোসেনের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই জেরে আব্বাস ও জাকিরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লিটন ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
তিনি আরও জানান, দায়ের কোপে তার বাম চোখটি মারাত্মক জখম হয়েছে। কোপ লেগেছে বাম হাত ও পায়ে। অপরদিকে তার স্ত্রী খালেদাকে বাড়ির পিছনে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকেরা। সেখানে নিয়ে তার সারা শরীরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আহত লিটনের চাচাতো ভাই শওকত আলী নিউজবাংলাকে বলেন, আব্বাস ও তার ভাই মিলে চাচাতো ভাই ও ভাবিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। ওই সময় আমার ঘরে ভাঙচুর করেছে তাঁরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত আব্বাস আলী জানান, তাদের জমি দখল করে ঘর নিমার্ণ করেছে শওকত আলী ও তার লোকেরা। গত রোববার রাতে তার ছোট ভাই দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শওকতের লোকেরা মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করি। তবে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার কথা অস্বীকার করেছেন আব্বাস আলী।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, মামলাটি আদালতে করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।