মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠনের তারিখ ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণার দাবিসহ তিন দফা প্রস্তাবনা নিয়ে গণভবনে গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
রবিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকা থেকে পদযাত্রায় সোহেল তাজ গণভবনে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তিন দফা দাবি হল:
ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করণ।
সোহেল তাজ বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকসহ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে বিকেল সাড়ে চারটায় গণভবনের ফটকে পৌঁছান তিনি। সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করে গণভবনের ভেতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেন।
গণভবন থেকে ফিরে সোহেল তাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার প্রতিনিধিরা এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং আশাকরি এটি ফলপ্রসূ হবে।
আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সঠিক ও বাস্তব ইতিহাস জানাতে চাই। তাই এই দাবিগুলো খুবই প্রয়োজনীয় এবং ঐতিহাসিক সত্য।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিন দফা দাবিতে রোববার বিকেল চারটায় নওই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে কেউ তার সঙ্গী না হলে একাই কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
তবে এ সময় সোহেল তাজের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ এবং সোহেল তাজের ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমিসহ কর্মী-সমর্থকরা।