স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, অনেকেই বলছেন রাষ্ট্র ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছে। এ টাকা জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশ কি আছে, যারা ঋণের টাকা পরিশোধ করে না? যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তাও তো জনগণের জন্যই নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন, যার বিকল্প নেই। কারণ আমার ১৭ কোটি মানুষ, যাদের প্রতিজনের যদি ১০ হাজার ডলার করে রোজগার হয়, তাহলেই ডেভেলপমেন্ট। কারণ জনগণের রোজগার মানেই রাষ্ট্রের রোজগার। সকারের কোনো জাদু নেই, সরকার কোনো টাকা রোজগার করে না। সরকার ম্যানেজার। পরিচালনা করে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ২০২২ বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, লোন নেওয়া হয় ইনকাম জেনারেশনের জন্য। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিরা আমাদেরকে ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের তো এতো টাকা নেই। আমেরিকারও নাই। এ ১১ বিলিয়ন ডলারকে আমরা যাচাই-বাছাই করে ঋণ নিয়ে ইনভেস্ট করি আমরা তাদের দিব কোটি টাকা কিন্তু আমাদের রোজগার হবে ২০ কোটি টাকা উদাহণস্বরূপ। এমন বহু লোন আছে যেটা নিলে আমাদের লাভ হবে।
সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণ পাচ্ছে উল্লেখ করে তাজুল বলেন, সরকার স্কুল করে দিচ্ছে, রাস্তা করে দিচ্ছে। যেমন-আগে যেখানে রাস্তা ছিল না, এক বস্তা চাল বাড়ি নিতে ভাড়া দিতে হত দুই শত টাকা, রাস্তার প্রভাবে শুধু দ্রুত নয়, মাত্র বিশ টাকা ভাড়ায় নিয়ে যেতে পারছেন। এটাই প্রোডাক্টিভ পদ্ধতি। বিদুৎতে কৃষির উন্নতিসহ রেভিনিউ সেভাবেই মেনেজমেন্ট করব। যার জন্য ইনভেস্টমেন্ট লাগবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আপনার বিবেককে প্রশ্ন করেন, আমরা কি ছিলাম আর কি হয়েছি। আজকের যে উন্নতি হয়েছে, পার ক্যাপিটেল ইনকামের। আমাদের জিডিপির গ্রোথ বৃদ্ধি। সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রতিটি মানুষ ভালো কাপড়-চোপড় পরেন। এক সময় তো গ্রামের বাজারে একটা লোক পেন্ট পরে উঠবে এটা কল্পনাও করা যেত না। সাধারণত লুঙ্গি বা গায়ে একটা গেঞ্জি পরতো। জামা গায়ে ছিল এমন লোক খুব কম পাওয়া যেত। কিছু লোক তো খালি গায়েই ছিল। আজকের এ পরিবর্তনটা কি আমরা বলতে পারবো না? এ পরিবর্তন তো হয়েছে। মানতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাহস নেই যে আমাদের বিক্ষুকের জাতি বলার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কিছুদিন আগেও আমাদের মেসকিনের জাতি বলেছিল। বিক্ষুকের জাতি বলেছে। এখন কোনো দেশ যদি বলে, জোর করে বলবে। যারা বলবে তাদের চেয়ে আমাদের অবস্থা ভালো। বাস্তবতা মানতেই হবে। বৈষম্য আমাদের কম। গ্রামে গিয়ে এখন আর কাউকে না খেয়ে আছে পাওয়া যায় না। কে আছেন হতদরিদ্র?
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সমচেয়ে সুখী মানুষেরও কিছু অপূর্ণতা পাওয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্ব পরিস্থিতি কিছুটা সমস্যায় আছে। এর মানে এই নয় আমরা ভেঙে পড়ব। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।