দেশের পর্যটন নিয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া ও পরিচালক (প্রশাসন ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ আলী সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কয়েকটি দেশ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের দেশে পর্যটন খাত থেকে খুব সামান্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারে একটি এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রায় সমাপ্তির পথে।’
‘মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম গত কয়েক বছরে ব্যাপকহারে বেড়েছে। প্রতি বন্ধের দিনে কক্সবাজারে লক্ষাধিক মানুষ, কোনো কোনো সময় দুই লাখ ট্যুরিস্ট যায়। দেশের অন্যান্য ট্যুরিস্ট স্পটেও অনেক ট্যুরিস্ট যায়। অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম যখন হয়, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। মানুষ যখন ঘুরতে যায়, টাকা খরচ করে, অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য তৈরি হয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ও স্থানীয় অর্থনীতির অনেক উপকার হয়।’
‘বাংলাদেশের পর্যটন’ বই প্রকাশ করায় ডিএফপির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী। ডিএফপি ক্যাম্পাসের বাইরে অন্যান্য জায়গা থেকেও যেন বইটি কেনা যায়, সেই সুযোগ তৈরি করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব বলেন, ‘পর্যটন নিয়ে বই হ্যান্ডি (সহজে বহনযোগ্য) না হলে অনেকে পড়তে চান না। এটি একটি ছোট বই। বাংলা আছে, ইংরেজিও আছে। পর্যটন নিয়ে আমাদের বেশি প্রচার করতে হলে এ ধরনের বইয়ের প্রয়োজন আছে।’
‘বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি এবং মানুষের হাতে টাকা আছে। আমাদের মাথাপিছু আয় এবং টোটাল অর্থনীতির যে অগ্রগতি হয়েছে, টাকা আছে আমাদের হাতে, মানুষ ঘুরতে চায়। এখন দেখবেন সবাই ঘুরতে চায়।’
‘বাংলাদেশের পর্যটন’ বইটি পর্যটকদের জন্য অনেক উপকারী হবে জানিয়ে তথ্য সচিব বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষ আমাদের পর্যটন স্থানগুলো শুধু দেখবেই না, তারা জ্ঞানও অর্জন করবে; এই বই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’