নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পুরনো ও নতুন পোখারা বিমানবন্দরের মাঝামাঝিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল।
নেপালের পোখরায় প্রায় ৭২ জন আরোহী নিয়ে কাঠমান্ডুগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ইয়েতি এয়ারলাইন্স বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।
বিমানটিতে ১৫ জন বিদেশি যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ছয় শিশুও রয়েছে। এছাড়া ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, দুইজন কোরিয়ান এবং একজন আর্জেন্টিনার যাত্রী ছিল। আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সের একজন করে যাত্রী ছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইয়েতি বিমান সংস্থা।
নেপালি কর্মকর্তাদের বরাতে ফারাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কে ছেত্রী এএফপিকে বলেন, ‘৩১টি মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে আরও ৩৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট একটি উড়োজাহাজ অবতরণের সময় হঠাৎ কাত হয়ে সরাসরি মাটির দিকে নেমে আসছে। বলা হচ্ছে, পোখারায় দুর্ঘটনায় পড়া বিমানের ভিডিও এটি।
বিবিসি জানিয়েছে, পোখারায় নামার সময় উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। সোশাল মিডিয়ায় আসা ছবি ও ভিডিওতে পাহাড়ি এলাকায় বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপের কাছে আগুন নেভাতে দেখা যায় উদ্ধারকর্মীদের । দূর থেকেও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় ওই এলাকায়।