শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রয়াত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে সংসদীয় আসন ঢাকা-১৭। এই আসনে নতুন সংসদ সদস্য (এমপি) কে হতে পারেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তবে এই আলোচনায় আগ্রহ যেন বেশি বিনোদন জগতের কর্মীদেরই।
এরই মধ্যে এসেছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেতা সিদ্দিকের নাম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক নায়কের নাম। তিনি আলমগীর। সিদ্দিক নিজে নিজেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমপি হতে চাইছেন তিনি। নায়ক ওমর সানি চাইছেন এই আসনে এমপি পদে নির্বাচিত হোন আরেক নায়ক ফেরদৌস।
আর সর্বশেষ এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা বলেছেন, চিত্রনায়ক আলমগীরই এই আসনে উপযুক্ত ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
অঞ্জনা লিখেছেন, সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তী চিত্রনায়ক এবং ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়াতে চলচ্চিত্র শিল্পে যেমন শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তেমনি শূন্যতা বিরাজ করছে ঢাকা-১৭ আসনটিতে।
তিনি লিখেছেন, চলচ্চিত্র শিল্প থেকে অনেকে চাচ্ছে এই আসনটিতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে যাকে মনোনীত করবেন সেই হবে এই আসনের নৌকার মাঝি।
নায়িকা লিখেছেন, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের একজন জীবন্ত কিংবদন্তী মহারথী জননন্দিত নায়ক প্রিয় আলমগীর ভাই। যার অবদান এই চলচ্চিত্র শিল্পে অতুলনীয়, শুধুমাত্র চলচ্চিত্র শিল্পই নয়, সামাজিক বিভিন্ন ক্ষত্রে যার অনন্য অবদান মাইলফলক এই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
তিনি লিখেছেন, আপনারা অনেকে বলতে পারেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ব্যাপারে আলমগীর ভাই এর অবদান কী? এই ক্ষেত্রে বলতে গেলে আলমগীর ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠেছেন সেই শৈশব থেকেই। একজন প্রকৃত শিল্পী রাষ্ট্রের সম্পদ চলচ্চিত্র শিল্প হচ্ছে দেশের সবচাইতে বড় শক্তিশালী গণমাধ্যম।আর আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের সবচাইতে বড় একজন গার্ডিয়ান হলেন প্রাণপ্রিয় আলমগীর ভাই।
অঞ্জনা লিখেছেন, ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো যদি কারো মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় তিনি একমাত্র আলমগীর ভাই। নায়ক আলমগীর এমন একজন ব্যাক্তি যিনি নিরলসভাবে জনগণের কল্যাণের লক্ষে কাজ করবেন প্রতিনিয়ত। তিনি সর্বদা স্পটবাদী ও অসত্যর সাথে তিনি কোনোদিন আপোষ করেননি। তিনি একজন মহান দানবীর এবং এই দানের কথা ওনি গোপনীয়ভাবে নিজের মধ্যই সীমাবদ্ধ রাখেন।
নায়িকা লিখেছেন, সংসদ সদস্য না হয়েও তিনি যা করেছেন এদেশের অনেক সংসদ সদস্যও তা করতে পারেননি। তিনি মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিম খানা নির্মাণ করেছে স্কুল নির্মাণ করেছেন এবং প্রতিনিয়ত তিনি দুঃখী মানুষের সাহায্যার্থে কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। এই রকম মহৎ হৃদয়বান ব্যাক্তি বর্তমান সময় রাজনীতিতে আসলে দেশ ও জনগনের শুধু উপকারই হবে না জনমনে এক প্রকার শান্তি আর্বিভূত হবে।
অঞ্জনা লিখেছেন, আলমগীর ভাই না চাইলেও আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সবাই চাই প্রয়াত ফারুক ভাই এর অসম্পন্ন কাজগুলো এই কিংবদন্তী চিত্রনায়ক মহানুভবতা সম্পন্ন সুমহান ব্যাক্তি আলমগীর ভাইয়ের হাতে পূর্ণতা পাক।
এর আগে বুধবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ওমর সানি লেখেন, ‘ফারুক ভাই চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন। তার শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না, গুলশান-বনানীতে তার যে সংসদ সদস্য পদ খালি হয়েছে সেই জায়গায় আমাদের ছোট ভাই ফেরদৌসকে ভাবাই যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু ভেবে দেখবেন, ধন্যবাদ।’
গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎধীন অবস্থায় মারা যান ফারুক। তার মৃত্যুর দুদিন পর আসনটি শূন্য ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
