হিমাগারে সরকারনির্ধারিত দামে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে একজন মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ‘দ্য কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট ১৯৫৬’-এর ৩(২) (ই) অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সরকারি পত্রে বলা হয়, আলু ব্যবসায়ীরা হিমাগার ও খুচরা পর্যায়ে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে আলুর বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তার জেলাধীন হিমাগারগুলো থেকে ন্যায্য দামে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তারা।
এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক স্টোরেজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকারনির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করবেন। এ ছাড়া ক্রেতাকে হিমাগার পর্যায়ে বিক্রির পাকা রসিদ দেয়ারও ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সরকারনির্ধারিত দামে আলুর বিক্রির জন্য হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু ওই দামে হিমাগার ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে আইন অনুযায়ী হিমাগার থেকে সরকারনির্ধারিত দামে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশনা দেওয়া হলো।