দাপুটে জয়ে নেপিয়ারে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৯৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা বাংলাদেশি পেসারদের দাপটে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডেতে ১৮ পরাজয়ের পর এটিই প্রথম জয়।
এই ক্ষুদ্র লক্ষ্য টপকাতে নেমে অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যদিও আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মাঠে রেকর্ড শতক করা সৌম্যকে ফিরে যেতে হয়েছিল রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ডান চোখের সমস্যার কারণে। তখন দলের বোর্ডে জমা হয়েছে ১৫ রান।
মাঠে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যিনি এই সিরিজ জেতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও করতে পারেননি ঠিকঠাক। তবে শেষ ম্যাচে সৌম্য মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। ও’রুর্ককে চার বলে চারটি চারও হাঁকান তিনি। এনামুল হক বিজয়ও তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দেন ৭ চারে ৩৩ বলে ৩৭ রান করে ও’রুর্কের বলে আউট হওয়ার আগে। তার বিদায়ে ৮৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিজয় আউট হলেও শেষপর্যন্ত টিকে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জয়ে সূচক রান ও নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে। লিটনও অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।
এর আগে, নেপিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে দিনের শুরুটা করেন পেসার তানজিম সাকিব। নিউজিল্যান্ডের দলীয় ১৬ ও ২২ রানে দুই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে। এরপর অধিনায়ক টম লাথাম ও ওপেনার উইল ইয়ং ৩৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালান। সে জুটি দলীয় ৫৮ রানে লাথামকে বোল্ড করে ভাঙেন শরিফুল। ৩ রানের ব্যবধানে ২৬ রান করা ইয়ংকেও ফেরান শরিফুল।
মার্ক চাপম্যানও ব্যর্থ হন শরিফুলকে সামলাতে। মাত্র ২ রান করে তিনি ফিরে যান দলীয় ৬৩ রানে। তার বিদায়ে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁক্তে থাকে স্বাগতিকরা।
কন্ডিশনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক প্রমাণ করেন পেসাররা। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং স্তম্ভে আঘাত হেনে দিশেহারা করে তোলেন কিউইদের দুই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার।
শরিফুলের পর আবারও বোলিংয়ে এসে উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ব্লুন্ডেলকে ৪ রানে আউট করলে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক শান্ত সৌম্যকে বোলিংয়ে আনলে ক্লার্কসন ও অ্যাডাম মিলনেকে সৌম্য আউট করলে ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
আদিত্য অশোককে সৌম্য নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করলে ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দুটি বোল্ড ও একটি কিপার ক্যাচে উইকেটগুলো পান তিনি। নিউজিল্যান্ডের শেষ উইকেটটি নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ৯৮ রান ও’রুর্ককে আউট করে অলআউট করেন নিউজিল্যান্ডকে।
শরিফুল, তানজিম সাকিব ও সৌম্য ৩টি আর মোস্তাফিজের শিকার ১ উইকেট। ৭ ওভারে ২ মেডেন ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তানজিম হাসান সাকিব। সিরিজে ২২০ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন উইল ইয়ং।