লক্ষন বর্মন। নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ :
নরসিংদীর রাঙামাটি এলাকার সিরাজুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ৮ম (কুদুরী) শ্রেণীর ছাত্রীর রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার দুপুরে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী শিমু আক্তার (১৫) মাদ্রাসার ৩য় তলায় বাথরুমে কাপড় রাখার ষ্ট্যানের (টাওয়াল ক্যারিয়ার)সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিমু আক্তার নরসিংদী শহরের বানিয়াছল এলাকার কবির মিয়ার মেয়ে। সংবাদ পেয়ে নরসিংদী শহর ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরির্দশক মিজানুর রহমান সঈীয় র্ফোস সহ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারের দাবী এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
নিহতের বাবা কবির হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার হুজুর আমাকে ফোন করে সদর হাসপাতালে যেতে বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তারা জানায় আমার মেয়ে বাথরুমে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি বাথরুমে কাপড় রাখার ষ্ট্যানে একটি গামছা ঝুলছে। যেটির উচ্চতা সর্ব্বোচ্চ ৩ ফুট। আর আমার মেয়ের উচ্চতা ছিলো ৫ ফুটের উপড়ে। ৫ ফুট উচ্চতার মেয়ে ৩ ফুট উচ্চতায় কিভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে ? মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের না জানিয়ে লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। এ ব্যপারে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আ: রহমান জানান, আমি ইজতেমায় চলে গিয়েছিলাম, ইজতেমা থেকে আসার পর জানতে পেরেছি। তবে মাদ্রাসার শিক্ষিকাগণ ও অন্য ছাত্রীদের কথাবার্তার কোন মিল পাওয়া যায়নি।