হে প্রভু, ‘তুমি তো বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছো যখন তারা জুলুম করেছিল’ জলে,স্থলে যতো বিপদ মুসিবত হয়, সেতো আমাদেরই হাতের কামাই আমরাই পাপী, ‘তবু তব কাছে ফরিয়াদ জানাই’ আমাদের
দূরের রাস্তাটা একা একা মসজিদের দরজায় বাঁক নেয়। আযানের ধ্বনি মধুর সুরেলা, ডাকে হাইয়্যা আলাসছলা, ডাকে হাইয়্যা আলাল ফালা। কিন্তু হায়! দ্বারে ঝুলছে তালা, উম্মুক্ত জামায়াতে আজ বাঁধা! তবুও তুমি
করোনা রোজই দিচ্ছে হানা উদাসী কাউকে পেলে, এখনো যাদের হুঁশ ফেরেনি বুঝবে ক’দিন গেলে। পড়বে যেদিন লাশের সারি হারাবে আপনজন, বুঝবে সেদিন সচেতনতার কতোটা প্রয়োজন। এখনো যারা না বুঝে ঘুরছো
মনের ঘরে রোজ নিশিতে দিচ্ছো তুমি টোকা, কৃষ্ণের মতো করবে গো লুট ভাবছো আমি বোকা ! মায়ার রাধে কলসি কাখে জল আনিতে যায়, গহীন জলেই কৃষ্ণ ডুবে ছোঁয়ার অভিপ্রায় !
ও ছেলে কিরে তোর নাম? ভিক্ষেরী গো নয়তো পথচারী । থাকিস কোথা? যেখানে অন্ধ সূর্য সকাল ফুটায় না, যেখানে আকাশ হয় ঝর্ণা পাহাড়- অভাবের আনাগোনা ! সেথা কোন সে গাঁয়ে
আমার এ ঘর ক্ষুধার রাজ্য রাতের আলো দেয় চাঁদ, মাটির চুলোয় উনুন জ্বালাতে চাল আটাদের বাঁধ । আমি বাহিরে যাব,কর্মে যাব কে আছে রুধবার? ক্ষুধার রাজ্য ঘুম কাড়ে মোর পেটে
বাহ্ কি বিশাল মহাকাশ তুমি! তোমার সুশীতল ছায়াতলেও স্বপ্নবুনে কিছু অমানুষ! অথচ তোমার দুর্দিনে আষ্টেপৃষ্ঠে জীবনবাজী রেখে ছায়ার মত পাশে ছিল যারা তারা আজ অনেকেই অনেকটা আড়ালে আবডালে। আসলে এমনই
বাতাসের পায়ে বইছে মৃত্যু, নিঃশ্বাসে ভাসে মৃত্যুর ঘ্রাণ! আকাশ গিয়েছে আপনার গৃহে, মুক্তির পায়ে শিকলের টান । গৃহবন্দী হয়েছে পৃথিবী আজ, জীবন চাইছে ক্ষুদ্র অনুপ্রাণ । আমি বাঁচতে চেয়ে পৃথিবীর
সেইদিন কোন পলাশ ফুটেনি গাছে সেইদিন কোকিলও গায় নি গান, দশলক্ষ জনতার উন্মাতাল সমুদ্রে যাদুকর দিলেন স্বাধীনতার আহ্বান। সেইদিন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল ঝরেনি পথে কংক্রিট সড়ক হতে রেসকোর্স ময়দানে, দীপ্ত
চোখের পলকে জীবন চলে যায় "আয়ু যেন পদ্মপাতার নীর"। খোলা জানালায় দুচোখে আমার আজ শুধু স্মৃতিদের ভীড়। হঠাৎ পালকি আসে দুয়ারে নিয়ে যায় কত চিরচেনা মুখ। থাকেনা কোন আগামবার্তা হারানোর
আচ্ছা-যদি এমন হয় যে, হঠাৎ তোমার প্রিয় কবির বই থেকে সব বর্ণ উধাও তোমার প্রিয় বইয়ের একটি কবিতাও নেই কোথাও তুমি কি খুব কষ্ট পাবে? মন খারাপ করবে খুব? যদি
সময় ফুরিয়ে, সময় আসছে, সে সময় হৃদ্ধ, নতুনের ডাকে। জীবন স্রোত, পেড়িয়ে যাচ্ছি, সুখের মেলায়, নিত্য নষ্ট হচ্ছি। সোনার দেহ, ক্রমশঃ মলিন, আকাঙ্খা দীপ, নিস্বঃ দিনদিন। আলোতে অন্ধ, করছে সন্ধি,