বল হাতে মোটামুটি ছিলেন সফল ছিলেন। কিন্ত ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টে নিজের জাত চেনাতে পারছিলেন না অলরাউন্ডার শাদাব খান। আগের তিন ম্যাচে সাকুল্যে তার রান ২৬। সব যেন জমিয়ে রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য। খেলেছেন ২২ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শাদাবের ২০ বলে ফিফটি এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেও দ্বিতীয় দ্রুততম এটি। ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও সফল শাদাব। নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন শাহিন আফ্রিদিও। টুর্নামেন্টে এর আগে তিন ম্যাচ খেললেও উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ১টি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই তার উইকেট সংখ্যা ৩টি। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৪। তাদের যুগলবন্দীতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে পাকিস্তান। জবাবে প্রথম ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৯ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই শুরু বৃষ্টি। অন্তত ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল ম্যাচ। পরে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৪ ওভারে। বৃষ্টি আইনে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২। অর্থাৎ বৃষ্টির পরে ৩০ বলে প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ৭৫ রান। কিন্তু ৩৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ১০৮ রানে।
বৃষ্টির আগে পাকিস্তানের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানের মাথায় কুইন্টন ডি কককে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ রানের মাথায় ফিরে যান ইনফর্ম রাইলি রুশোও। দুই উইকেটই নেন শাহিন আফ্রিদি। তবে ব্যাট হাতে এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ৬৫ রানের মাথায় বিদায় নেয়ার আগে ১৯ বলে করেন ৩৬। একই ওভারে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন এইডেন মার্করামও। দুটি উইকেটই শাদাবের।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে এসে চেনা বিপর্যয়ে শুরু পাকিস্তানের। প্রথম ওভারেই ওয়েইন পারনেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে তিনে নেমে দারুণ ঝলক দেখান ফখর জামানের বদলি একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ হারিস। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটিতে একাই করেন ২৮ রান। তার ১১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৩৮ রানে বিদায় নেন হারিস। দলের স্কোরে আর ৫ রান যোগ হতে আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম ও শন মাসুদও। ৪৩ রানে ৪ উইকেট গায়েব-এমন বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ৫২ রানের জুটি গড়েন তারা।
প্রথম ১৩ ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৯৫ রান। হারায় ৫ উইকেট। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিখার আহমেদ-শাদাবের ৩৫ বলে ৮২ রানের জুটি। ১৭৭ রানের মাথায় পরপর শাদাব, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও ইফতিখার (৫১) আউট হলেও ততক্ষণে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় পাকিস্তান। তোলে ১৮৫ রান।