নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,০৯ এপ্রিল ২০১৯: নরসিংদী জেলার সর্ববৃহৎ মানবিক সংগঠন হৃদয়ে বাংলাদেশ’র ৬ শতাধিক অসহায় শিক্ষার্থীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালো জাপানস্থ নরসিংদী জেলা সোসাইটি।
গত (৭ এপ্রিল) রোববার সকাল ৮টায় হৃদয়ে বাংলাদেশ’র নিয়মিত মাসিক আয়োজন শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়ে সংগঠনটির সাথে একাত্মতা পোষণ ও নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অনুদান প্রদান করেন নরসিংদী জেলা সোসাইটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু। এর আগে হৃদয়ে বাংলাদেশ’র সাথে সুদূর জাপান থেকে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় করেন নরসিংদী জেলা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী রোমান।
অনুষ্ঠানে হৃদয়ে বাংলাদেশের পক্ষে অনুদান গ্রহণ করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মফিজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আল-আমিন রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আল আমিন সরকার, কোষাধ্যক্ষ মশিউর রহমান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুর আলম, প্রচার সম্পাদক আমির হোসেন বকুল, আমদিয়া ইউনিয়ন মানবসেবা সংঘ আলোর দিশারী সংগঠনের সভাপতি জিএম সোহেল মাহমুদ প্রমূখ।
এছাড়াও এসময় হৃদয়ে বাংলাদেশ ও আলোর দিশারী সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসী অতিথি নরসিংদী জেলা সোসাইটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সংগঠনের ৬ শতাধিক এতিম, দুস্থ ও অসহায় শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। এসময় সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম দেখে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং যেকোন প্রয়োজনে জাপানস্থ নরসিংদী জেলা সোসাইটির পক্ষ থেকে সংগঠনটির পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, “পড়বে সবাই, ঝরবেনা কেউ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে হৃদয়ে বাংলাদেশ নামে মানবিক সংগঠনটি ২০১১ সনে মাধবদীতে ৩৯ জন অসহায় ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী ও হুইল চেয়ার বিতরণ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে সংগঠনটি থেকে মাধবদী ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা প্রণোদনা পুরস্কার ও অসহায় শিক্ষার্থীদেরকে মাসিক ভিত্তিতে বই, খাতা, কলম, বছরের শুরুতে নতুন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, বর্ষাকালে ছাতা, ঈদ ও পূজা পার্বনে নতুন পোশাক, ঈদ সামগ্রী ও প্রতিবন্ধীদেরকে হুইল চেয়ারসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। বর্তমানে সংগঠনটি থেকে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শতাধিক।